টাঙ্গাইলে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

শেয়ার করুন

মো.নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বড়চওনা এলাকার নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছে মেয়েটির বাবা। অভিযোগে বলা হয়েছে ধর্ষণের সময় কৌশলে ভিডিও ধারণ করে রাখে ধর্ষক। আর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে পুনরায় দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে পাশের বাড়ীর দূর সম্পর্কের মামাতো ভাই তিন সন্তানের জনক ৪৫ বছরের লিটন মিয়া।

বর্তমানে ধর্ষিতা লম্পট লিটনের বিক্রিত লালসার শিকার হয়ে ৫ মাসের অন্তসত্বা মেয়েটি! মামলা হওয়ার রোববার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে অগ্রিম জামিন চাইতে গেলে আসামী লিটনকে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

উপজেলার বড়চওনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ছাত্রী একই এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার উপর নজর পড়ে পাশের বাড়ী দূর সর্ম্পকের মামাতো ভাই তিন সন্তানের জনক লম্পট লিটনের। লম্পট লিটন স্থানীয় বড়চওনা বাজারের পোল্ট্রির খাদ্যের ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাবশালী মতিয়ার রহমানের ছেলে।

গত ৭মাস আগে একদিন বিকেলে ওই ছাত্রী স্কুল থেকে ফিরে প্রতিবেশী লিটনের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। এসময় বাড়ীতে লোকজন না থাকার সুযোগে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কৌসুলে সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে ঘটনা প্রকাশ করলে এ ভিডিও চিত্রটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়াসহ বাবা-মা ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লিটন। পরবর্তীতে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে এভাবেই সাত মাস ধরে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে সে। কয়েকদিন পূর্বে হঠাৎ করে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে শারিরীক পরীক্ষা করায়। পরে ডাক্তার জানায় সে প্রায় ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। পরে মেয়েটি তাঁর পরিবারের কাছে ধর্ষণের সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। রোববার ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক লিটনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায় হতদরিদ্র কিশোরীর পরিবারটি লোক লজ্জার ভয়ে দিনের অধিকাংশ সময় ঘরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে মামলা খবর পেয়ে লম্পট তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে পালতাক থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যগণ বিষয়টিকে অজানা কারণে তেমন পাত্তাই দিচ্ছেননা।

লিটনের বাবা এলাকার প্রভাবশালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়া মুখ খুলতে চায়নি অনেকেই। দু’একজন যারা মুখ খুলেছেন তারা তার অতীত কুর্কমের কথা জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন।

মেয়ের ভবিষৎ এর কথা চিন্তা না করে সকল মেয়ের বাবা হিসাবে প্রতিবাদ করা তার দায়িত্ব বলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। অনাআগত শিশুর ব্যাবস্থাসহ দৃষ্টান্ মূলক শাস্তির দাবী ধর্ষণের শিকার মেয়েটির।

এখনও ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে দ্রত আসামী গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আস্বাশ দিয়েছেন সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।