চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা: ৩ আসামী জেল হাজতে

চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা: ৩ আসামী জেল হাজতে

শেয়ার করুন

টাঙ্গাইল ধর্ষণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ‘ল” কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুন গণধর্ষন    ও হত্যা ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়ার পর ৩আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী দুই আসামী বাসের চালক হাবি মিয়া ও সুপারভাইজার গেদু মিয়াকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে তুলবে পুলিশ। বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা বোনের লাশ টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান থেকে উত্তোলনের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন নিহত রুপার ভাই হাফিজুল। আদালত লাশ উত্তোলনের আদেশ দিলে আজই করব থেকে রুপার লাশ উত্তোলন করা হবে।

নিহত রুপার ভাই হাফিজুল প্রামানিক জানিয়েছেন, আদালত লাশ উত্তোলনের অনুমতি দিলে পুলিশী প্রক্রিয়া শেষে রুপার লাশ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে।

জানিয়ে রাখতে চাই যে, গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে টাঙ্গাইল- ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার ধারে পড়ে থাকা এক তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ। লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসে।

গণধর্ষনের পর গার মটকিয়ে ও চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পরে নিহত রুপার ভাই হাফিজুল প্রামানিক খোজ পেয়ে মধুপুর থানায় লাশের ছবি ও পড়নের কাপড় দেখে পরিচয় সনাক্ত করে। আসামীরা গণধর্ষন ও হত্যাকান্ড ঘটিয়েও নিবিঘিœ যাত্রীবাসটি চালাচ্ছিল। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের দেওয়া তথ্যর উপর নির্ভর করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঐ বাসের চলক ও সুপারভাইজারসহ ৫জন আসামীকে গ্রেফতার করে। তারা বাস নিয়ে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল।