দ্বিগুণ ভাড়া ও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলছে অবৈধ তিন...

দ্বিগুণ ভাড়া ও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলছে অবৈধ তিন চাকার যানবাহন

শেয়ার করুন
received_1114854552371915
।। সালাহ উদ্দিন সৈকত, কালিয়াকৈর, গাজীপুর ।।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন রাখতে আশেপাশের সাত জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়।আজ তৃতীয় দিনে দেখা যায় বাস বন্ধ থাকলেও সব ধরণের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।এ সুযোগে বিভিন্ন ধরনের থ্রি হুইলার দাপিয়ে চলছে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে।যাত্রীদেরও গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এইসব অবৈধ থ্রি হুইলারে।এ সুযোগে ভাড়া নিচ্ছেন কোথাও দ্বিগুণ,আবার কোথাও তার বেশি।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী  লকডাউনে সারাদেশের ন্যায় কালিয়াকৈরে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ।কালিয়াকৈরে অনেক শিল্প কলকারখানা চালু থাকায় গার্মেন্টস কর্মী ও চাকুরিজীবীরা বিপাকে পড়েছেন।
নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় এবং গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা,ইজি বাইক,সিএনজি চালিত অটোরিকশা,ভ্যান গাড়ি ও মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তারা। নিষেধাজ্ঞার ৩য় দিনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অবৈধ লেগুনার চাহিদা বেড়েছে প্রায় কয়েকগুণ।
লকডাউনের ৩য় দিন সকালে উপজেলার বাসস্ট্যান্ডগুলোতে অফিসগামী মানুষদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।উপজেলার মৌচাক,সফিপুর, চন্দ্রা,পল্লী বিদ্যুৎ,কালিয়াকৈর বাজার বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে গাড়ি না পেয়ে অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন।আবার কেউ কেউ পণ্য পরিবহনের ভ্যানে করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।তবে ভাড়া পূর্বের থেকে দ্বিগুণের ও বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।যাত্রীদের সাথে ভাড়া নিয়ে বাক্-বিতন্ডার সৃষ্টি হচ্ছে।এর মধ্যে অনেকেই গাড়ি না পেয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেননি ও মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব।অটোরিকশা গুলাতেও স্বাস্থ্যবিধির কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠিয়েছে।
অফিসগামী যাত্রীরা বলেন,”লকডাউনে অফিস বন্ধ না থাকায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে হচ্ছে। গণপরিবহন না থাকায় এভাবে গাদাগাদি করে এসব থ্রি হুইলার গাড়িতে ডাবল ভাড়া দিয়ে চলাচল করছি।চাকরি না থাকলে খাব কি?বাসা ভাড়া কিভাবে দিবো?”
সালনা হাইওয়ে থানার (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান,”যে সব অবৈধ থ্রি হুইলার রাস্তায় চলছে,তার শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাবে।যা চলছে আমাদের চোখের আড়ালে।অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী এবং স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”