ভোট দিলেন সীমা-সাক্কু, নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি

ভোট দিলেন সীমা-সাক্কু, নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি

শেয়ার করুন

20170330_082917
কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন(কুসিক)। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। তবে পুরুষদের তুলনায় নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো বেশি। আওয়ামীলীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা সকাল ৯টায় ভোট দিয়েছেন কুমিল্লা মডার্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এদিকে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কুর সকাল সোয়া ৯টায় ভোট দিয়েছেন হোচ্ছা মিয়া হাই স্কুল কেন্দ্রে।

সকাল ৮টার দিকে  অশোকতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। নারী ভোটার আফিয়া খাতুন, রমিজা বেগম জানান, সকাল ৭টার আগেই লাইনে দাঁড়িয়েছি, এখনো ভোট দিতে পারি নাই। এদিকে আজকের এ উৎসবের মাঝে উৎকন্ঠাও কম নয়। প্রার্থী, দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থক ভোটার সবাই উৎকণ্ঠিত। এবারের নির্বাচন এ সিটির ২য় নির্বাচন। এর আগে প্রথম নির্বাচন হয়েছিল ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে কাগজে-কলমে চারজন প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা (নৌকা) এবং বিএনপি মনোনীত ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর সাথে ভোট যুদ্ধে মাঠে লড়ছেন। মেয়র পদে অপর দুই প্রার্থী হচ্ছেন, জেএসডি মনোনীত শিরিন আক্তার (তারা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর মামুনুর রশীদ (টেবিল ঘড়ি)। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৪ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 20170330_082921রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে দুই লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন। এসব ভোটারের জন্য ২৭টি ওয়ার্ডে ১০৩টি ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষ রয়েছে ৬২৮টি। ভোট গ্রহণে ১ হাজার ৯৮৭ জন প্রিজাডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও  পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়াও ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৪৫জন ম্যাজিস্ট্রেট আইনশৃংখলার তদারকি করছেন।

কুসিকের রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল জানান, শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি রয়েছে ইসি এবং স্থানীয় প্রশাসনের। কোন ভোট কেন্দ্রে ভোটের পরিবেশ বিঘিœত হলে তাৎক্ষণিক সেখানে ছুটে যাবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।