শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষার্থীর মামলা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষার্থীর মামলা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

শেয়ার করুন

মো.কাউছার, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নন্দনপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার কৃষি শিক্ষক ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে শিক্ষক ইমাম হোসেনকে আসামী করে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। আজ রোববার সকালে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে  মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক ইমাম হোসেনকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষক নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার খানপুর গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।

পুলিশ,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, গত দুই বছর আগে ইমাম হোসেন নন্দনপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় কৃষি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই মাদ্রাসার পাশের এক বাড়িতে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান তিনি। খাতায় বেশি নাম্বারসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলে ওই বাড়িতে ছাত্রীদের নানান ধরনের যৌননিপীড়ন করে আসছিল সে। ইতিমধ্যে এসব অভিযোগের বিচার চেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে একাধিক ছাত্রী অভিযোগ দেন। সেপ্টেম্বরে অধ্যক্ষ ওই শিক্ষককে কারন দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশ পাওয়ার পর শিক্ষক অসুস্থ দেখিয়ে ১ মাসের মেডিকেল ছুটি নিয়ে আতœগোপনে চলে যায়।  এরপর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওই শিক্ষক ইমাম হোসেনকে তলব করলে সে ২৮ অক্টোবর মাদ্রাসা আসে। ওই শিক্ষক মাদ্রাসা আসার খবরে অভিভাবকরা জড়ো হয়ে তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আতিকুর রহমান বলেন, শিক্ষক ইমামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে দু বার তাকে শোকজ করা হয়েছে। জবাবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এসব বিষয়ে শনিবার দুপুরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির এক সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় শিক্ষকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ মাদ্রাসা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ইমাম হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, শিক্ষক ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে রয়েছে। ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে এক ছাত্রী থানায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্ত  শিক্ষকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। তদন্ত চলছে।