ফরিদপুরে জলাধারে আটকা পড়েছে কুমির, আতংক চর এলাকায়

ফরিদপুরে জলাধারে আটকা পড়েছে কুমির, আতংক চর এলাকায়

শেয়ার করুন
777777
ছবি-প্রতিকী

।। কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর ।।
কুমিরের ভয়ে আতংকিত সময় কাটাচ্ছে ফরিদপুরের চর এলাকার জনগোষ্ঠি। গত শনিবার সকালে ওই কুমিরটি চর এলাকার একটি জলাধারে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর ওই এলাকায় মাইকিং করে সর্বসাধারণকে ওই জলাশয়ে না নামার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৩৮ দাগ এলাকায় সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামে। ওই গ্রামে আনুমানিক তিনশ ফুট দৈর্ঘ্য ও দুইশ ফুট প্রস্থ একটি জলাধার রয়েছে। ওই জলাধারে ওই কুমিরটি এসে অস্তানা গেড়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, গত রবিবার সালাম খাঁর ডাঙ্গী গ্রামের জেলে হজরত মিয়া পদ্মা নদী থেকে আনুমানিক চার কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরেন। মাছটি তাজা রাখার জন্য মাছের মুখে দড়ি বেধে জলাশয়ের মধ্যে চুবিয়ে রাখেন। কিছুক্ষণ পর তিনি মাছটি তুলে আনার জন্য দড়ি ধরে টান দিলে কুমিরটি দেখতে পান।
এলাকাবাসী জানায়, পদ্মা নদী থেকে একটি সরু চ্যানেল ওই জলাধারের কাছে গেছে। এর মধ্যে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় চ্যানেলের পানি শুকিয়ে যায়। এলাকাবাসী বলেন, ধারনা করা হচ্ছে ওই কুমিরটি একটি মেচো কুমির। কোন মাছ তাড়া করতে করতে এ জলাধারে এসে আটকা পড়েছে।
কুমিরটি দেখার পর ওই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় পুরাতন মোহন মিয়া হাট জামে মসজিদ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ওই জলাধারে যাতে কেউ না নামেন সে ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে এলাকাবাসীকে।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেযারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান বলেন, কুমিরটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য পাঁচ ফুট। তিনি বলেন, এলাকায় ওই কুমিরটি দেখা যাওয়ার পর থেকে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর সদরের বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, তিনি গত রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, যে জলাধারে ওই কুমিরটি অবস্থান করছে সেটি ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর। ওই জলাধার থেকে এ কুমিরটি ধরা কষ্টসাধ্য। তিনি বলেন, যে চ্যানেল দিয়ে ওই কুমিরটি ওই জলাধারে ঢুকেছে সে চ্যানেলের মুখে মুরগি হাঁস বেধে রেখে কুমিরকে প্রলুব্দ করে বের করে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যে এ উদ্যোগ সফল না হলে বিষয়টি ‘বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ’-এর খুলনা কার্যালয়কে জানানো হবে যাতে এ কুমিরটি এ জলাধার থেকে সরিয়ে বড় কোন নদীতে ছেড়ে দেওয়া যায়।