আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
মিয়ানমারের এনএলডি নেত্রী অং সান সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) তার প্রথম মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। তার বিরুদ্ধে আনা বাকি ১১ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে যাবজ্জীবন কারাভোগ করতে হতে পারে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে উস্কে দেওয়ার এবং কোভিড নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে চার বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করা হলো। তবে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই তিনি অস্বীকার করেছেন।
গত ৩০ নভেম্বর এই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করা হয়। সেদিন সু চির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার কথা থাকলেও বাড়তি আরেক ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে তা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
মূলত জাও মিন্ট মং নামে এক ব্যক্তি স্বাস্থ্যগত কারণে ইতোপূর্বে আদালতের সামনে সাক্ষ্য দিতে না পারলেও পরে তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পরে আদালত আসামীপক্ষের ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং রায় ঘোষণা স্থগিত করেন। স্থগিত সেই রায়ই সোমবার ঘোষণা করা হবে।
গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয় ৭৬ বছর বয়সী নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডি পার্টি। ভূমিধস জয়ের পর তারা সরকার গঠন করে। কিন্ত চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী।
সে সময় সু চি সহ অন্যান্য নেতাদের আটক করা হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত গৃহবন্দি রয়েছেন সু চি। এরপরেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ, গোপনীয়তা লঙ্ঘন জনসাধারণকে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ আনা হয় সু চির বিরুদ্ধে।