ডিজিটাল বাংলাদেশ একটা বিপ্লব, এ বিপ্লবের মহানায়ক সজীব ওয়াজেদ জয়ঃ জুনাইদ আহমেদ...

ডিজিটাল বাংলাদেশ একটা বিপ্লব, এ বিপ্লবের মহানায়ক সজীব ওয়াজেদ জয়ঃ জুনাইদ আহমেদ পলক

শেয়ার করুন

Screenshot_20210727-203819।। আসাদুজ্জামান তালুকদার।।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) রাত ৮ টায় অনলাইনে সরকারি আইসিটি পেশাজীবীদের সর্বপ্রথম ও বৃহৎ সংগঠন “গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম” এর আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ  জয়ের ৫১ তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি। Screenshot_20210727-203752

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি সদস্য,ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও জনাব এন এম জিয়াউল আলম সিনিয়র সচিব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সবুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডঃ আবদুল জব্বার খান প্রো-ভিসি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব শারমিন আফরোজ সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সভাপতি গভারমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম।  অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী রতন চন্দ্র পাল প্রোগ্রামার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মহাসচিব “গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরাম” সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ. এস. এম. হোসনে মোবারক, প্রোগ্রামার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও কোর টিম মেম্বার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সুরক্ষা।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক তার আলোচনায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের কর্মময় জীবন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগামী প্রজন্মকে ডিজিটাল শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ও সরকারের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন আইসিটি পেশাজীবী। দক্ষ আইসিটি পেশাজীবী গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন আইসিটি ক্যাডার।  তাই আগামী প্রজন্মকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করার জন্য সকল সমাজের সকল স্তরে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যার দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের আইসিটি পেশাজীবীগণ দিন রাত কাজ করছেন।  তিনি বলেন আপনারা জানেন তারুণ্যের অহংকার আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় তিনি ২০০৭ সালে “ইয়াং গ্লোবাল লিডার” নির্বাচিত হয়েছেন।  তিনি বঙ্গবন্ধুর নাম এ পৃথিবী থেকে কেউ যেন মুছে দিতে না পারে, তাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যামে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জনাব ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি মহোদয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুবিধা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকার ২০১৩ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর গঠন করে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা নিয়োজিত করেছে।  এখন আমাদের প্রয়োজন সকল দপ্তরের ডিজিটাল কার্যক্রম এর একটি সমন্বয়। এজন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।  ২০১১ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সরকারের সকল আইসিটি পেশাজীবীদের একক প্রশাসনিক আওতায় এনে তাদেরকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো হবে। আমরা যদি আইসিটি পেশাজীবীদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরা আগামী দিনে প্রকৃত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবী সন্তানরা যেন এ পেশায় আসে তাই আইসিটি ক্যাডার বাস্তবায়ন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারই করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কেননা এই আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিল তখন অনেকেই এই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেছেন। আর যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকতো তাহলে আমরা করোনা মোকাবেলা করে বর্তমানে আমাদের বেশিরভাগ কাজই করতে পারতাম না। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে আজ আমরা আমাদের সকল কাজ অনলাইনে করতে পারছি। তাই আমি এই অনুষ্ঠানে গভীর শ্রদ্ধা জানাই আমাদের আইসিটি উপদেষ্টা মহোদয়ের প্রতি। ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কর্মকান্ড উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনায় আরো বেগবান হবে এই আশা ব্যক্ত করছি।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা আইসিটি বিভাগ থেকে আইসিটি ক্যাডার করার জন্য প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করেছি অচিরেই আইসিটি ক্যাডার গঠিত হবে এতে টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহজ হবে।
বিশেষ অতিথি আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম তার বক্তব্যে বলেন আইসিটি পেশাজীবীগণ দিনরাত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে। তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও আরো উন্নততর কাজের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আইসিটি ক্যাডার অচিরেই গঠিত হবে। টেকসই ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি আইসিটি পেশাজীবীগণ সহজে পৌঁছে দিবেন।
ফোরামের সভাপতি মহোদয় তার বক্তব্যে আইসিটি পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল প্রতিটি অতিথিসহ সকল অংশগ্রহণকারী দেরকে ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান গভর্নমেন্ট আইসিটি অফিসার্স ফোরামের  কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য। তিনি আরো বলেন করোনা মহামারী স্বাভাবিক হলে সশরীরে সজীব ওয়াজেদ জয় মহোদয়ের সাথে আমরা উনার জন্মদিন পালন করতে পারব আগামী বছর।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এ. এস. এম. হোসনে মোবারক, প্রোগ্রামার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও কোর টিম মেম্বার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সুরক্ষা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।