রাজধানীতে খ্রীষ্টান নারীকে গলা কেটে হত্যা

রাজধানীতে খ্রীষ্টান নারীকে গলা কেটে হত্যা

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীতে এক খ্রীষ্টান নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নিজ বাসা থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কি কারনে এ হত্যাকান্ড তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। প্রায় ৭০ বয়োসোর্ধ্ব নারী মিলু গমেজ। শুক্রবার সকালেও রাজধানীর মহাখালী এলাকার খ্রিষ্টানগলির নিজ বাড়ীতে আনাগোনা ছিল এই খ্রীষ্টান নারীর।

কিন্তু কিছু সময়ের ব্যবধানেই এখন মৃত, নিজ বাড়ীতেই নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন তিনি। প্রতিদিনের মত নিয়ম করেই সকালে বাসার কাজ করতে আসা গৃহপরিচারিকার ডাকাডাকির শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন বুঝতে পারল নিশ্চই কোন সমস্যায় পড়েছেন বাড়ীর মালিক বৃদ্ধ দম্পত্তি।

তারাও ডাকলেন বেশ কিছুক্ষন এরপরই ভিতর থেকে দরজা খুলে দেন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য গৃহকর্তা অনিল গমেজ। বাড়ীর তিন তলার ফ্ল্যাটের বসার ঘররে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় মিলু গমেজের গলাকাটা, রক্তাক্ত মরদেহ। এইতো সকালেই তো টেলিফোনে কথা হল মিলু গমেজের সাথে, বলছিলেন বড়দিনের উপহার কেনা শেষ দু্একদিনের মধ্যেই গাজীপুর যাবেন পরিবারের অন্যান্যদের সাথে দেখা করতে, কিন্তু ১ ঘন্টার ব্যবধানেই এই পরিনতি মানতে পারছেন না মিলু গমেজের ননদ।

এই তিনতলা বাড়ীটি বিক্রীর কথা চলছিল, কারন বৃদ্ধ দম্পত্তির খুব শীঘ্রই বিদেশে পাড়ি দেবার কথা ছিল, জীবনের শেষ সময়টুকু প্রবাসী ৪ চার ছেলের সাথেই কাটাবেন বলে। এই সম্পদই কাল হল কিনা সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এখন প্রশ্ন হল, মিলু গমেজকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করল কে বা কারা ? ভিতর থেকে যেহেতু দরজা খুলে দিয়েছিলেন তার বৃদ্ধ স্বামী অনিল গোমেজ।সাথে জামায় লেগে থাকা রক্তের দাগ আর মুখে কিছু ক্ষতের চিহ্ন স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহের তীর ছুঁড়ে দেয় তার দিকে।