উদ্যোক্তা হতে হলে যে কাজ গুলো করা যাবেনা

উদ্যোক্তা হতে হলে যে কাজ গুলো করা যাবেনা

শেয়ার করুন

কিশোয়ার অরনী:

উদ্যোক্তা হিসেবে যে পাঁচটি ভুল এড়িয়ে চলা দরকারঃ নিজের ব্যবসা, উদ্যোগ, নিজের প্রতিষ্ঠান। খুব ছোট করে হলেও অনেক সাহস আর আত্নবিশ্বাসের প্রয়োজন উদ্যোক্তা হতে হলে। নিজের মতো করে কাজ করার স্বাধীনতা এখানে যেমন আছে, ঠিক তেমনি অনেক ভুল সিদ্ধান্ত, অনেক অসাবধানতাও আছে। তবে ভালোভাবে পড়াশুনা করে উদ্যোগে নামলে এবং কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকলে হয়তো এই ভুল এড়ানো সম্ভব। সফল উদ্যোক্তা হবার পথে এমন পাঁচ ভুল কি হতে পারে? জেনে নিনঃ

১. ভুল সাফল্য নির্ধারণ: আপনি ও আপনার উদ্যোগের জন্য সাফল্য কি? সেই বিষয়ে স্পষ্ট হোন। অন্য কোন উদ্যোগ বা অন্যের সাফল্য অনুযায়ী নিজের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করাটা কখনোই আপনার জন্য সমীচীন সিদ্ধান্ত হবে না। তাই সাফল্যের এই ফাঁদ এড়াতে হলে নিজের কাছে স্পষ্ট হোন, আপনার কাছে সাফল্য কি তা নির্ধারণ করুন এবং লিখে রাখুন। আপনার লক্ষ্যের প্রতি সাবধান হোন।

২. যথাযথ যোগাযোগের অভাব: একজন উদ্যোক্তা হিসেবে মনে হতে পারে যে আপনার যোগাযোগ সঠিক পথেই এগুচ্ছে। কিন্তু নিরাশাজনক হলেও সত্যি, নতুন উদ্যোগ হিসেবে অনেকেই যোগাযোগের বিষয়ে সঠিক হতে পারেন না। আপনি কি বলতে চান, আপনার বলার উদ্দেশ্য, এর পরের সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত এসব বিষয় আগেই নিজের মনে তৈরি করে সম্ভব হলে লিখে রাখুন। সঠিক জায়গার জন্য সঠিক শব্দ বাছাইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

৩. ভুল নেতৃত্ব: নেতৃত্ব বিষয়টি যেকোন ব্যবসায়ের জন্যই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে যেমন নিজের আত্নবিশ্বাস, ব্যবসায়ের প্রতি একাগ্রতা প্রকাশ পায়, ঠিক তেমনি অধীনস্থরাও নেতৃত্ব থেকেই নিজেদের সঠিক দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে পারে। নতুন উদ্যোগ হিসেবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চেষ্টা করুন সবার মতামত জেনে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে। এতে করে কর্মপরিবেশ যেমন সুন্দর হবে, ঠিক তেমনি সবারই প্রতিষ্ঠানের প্রতি একাগ্রতা বেড়ে যাবে বহুগুণে।

৪. কাস্টোমার ইজ অলওয়েজ রাইট: “কাস্টোমার ইজ অলওয়েজ রাইট” এই নীতি থেকে সরে আসার সময়টা চলে এসেছে এখন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব নীতি রয়েছে, ভালো খারাপ দিক রয়েছে। তাই প্রতি গ্রাহক বা ভোক্তার ব্যাপারে যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয় তা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে অনেকটাই। তাই বরং নিজেদের সিদ্ধান্ত গ্রাহকের জন্য পরিবর্তন না করে তাঁদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌছানোই ভালো হবে।

৫. স্বাধীনতা ও অর্থের সমন্বয়:  প্রত্যেক উদ্যোক্তাই একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। কিন্তু ব্বসায়ে নেমে অর্থের পেছনে ছুটে বেড়ালে প্রধান উদ্দেশ্যই একসময় গৌন হয়ে যেতে পারে। এতে করে ব্যবসায়ের প্রতি মনোযোগ আর সঠিক লক্ষ্যে পৌছানো কোনটাই হয়তো সঠিকভাবে হয়ে উঠতে পারেনা। এই বিভ্রান্তি দূর করা গেলে নতুন উদ্যোগে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।