নড়াইলে ৫৮ বস্তা চাউল জব্দ

নড়াইলে ৫৮ বস্তা চাউল জব্দ

শেয়ার করুন

Rice

কার্ত্তিক দাস, নড়াইল: সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৮ বস্তা চাউল কালো বাজারে বিক্রি করতে এসে ধরা খেলেন ডিলার বিপ্লব বিশ্বাস। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়া উপজেলার মাউলি ইউনিয়নের মহাজন বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃত চাউল সরকারি কোন গুদামের কিনা তা যাচাইয়ের জন্য কালিয়া উপজেলা প্রশাসন মাউলি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

মাউলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহাজন বাজারের ব্যবসায়ী প্রশান্ত কুমার স্বর্ণার ও উত্তম সাহা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে এক ভ্যানচালক ১৭ বস্তা চাউল নিয়ে বাজারের সমশ্বের সাহার দোকানে বিক্রি করতে আনে। বিষয়টি সন্দেহ হলে ভ্যানচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, এসব বিপ্লব বিশ্বাসের মাল। 

নড়াগাতি থানা পুলিশ খবর পেয়ে মহাজন বাজারে পৌছে বিভিন্ন দোকান তল্লাসি চালিয়ে মনসা ট্রেডার্সের টিনের দোকান থেকে আরো ৪১ বস্তা চাউল, বস্তাসেলাই কনরা ভ্রমর,খালি বস্তা, সুতলি এবং চাউল মাপার যন্ত্র উদ্ধার করে। এলাকাবাসির অভিযোগ সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাউল কালো বাজারে বিক্রি করতে আনা হয়েছিল। 

নড়াগাতি থানার পরিদর্শক মো.মনিরুজ্জামান বলেন,বিভিন্ন কোম্পানীর সিলযুক্ত ৫৮ বস্তা চাউল স্থানীয় জনগণ আটক করে আমাদের খবর দেন। আটককৃত চাউলগুলি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বড়দিয়া খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি দিবাকর বিশ্বাস বলেন,জব্দকৃত চাউল সরকারি গুদামের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় যে চাউল দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ ১০ টাকা কেজির চাউলের স্যাম্পলের মিল নেই।

ব্যবসায়ী বিপ্লব বিশ্বাস দাবি করেন, এ চাউল খুলনা থেকে ব্যবসার জন্য বাজারে আনা হয়েছে। খরিদের রশিদও আমার কাছে আছে। তিনি দাবি করেন,এটা সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতার চাউল নয়। বাজারের কিছু ব্যবসায়ী তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে প্রশাসনকে খবর দিয়েছে।

কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নাজমুল হুদা বলেন, এ চাউল সরকারি কোন খাদ্যগুদামের কিনা তা পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য সাউলি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।