এটিএন টাইমস ডেস্ক:
প্রত্যেক বছরের আগস্ট মাসে নটিংহিল উৎসব আয়োজিত হয়ে আসছে। মূলত এটি একটি গণ উৎসব যা ১৯৬০ সালে চালু হয়ে এখনও তার ব্যাপক আবেদন ধরে রাখতে সক্ষমতা দেখাচ্ছে। গত ৫০ বছর ধরে এই গণ-উৎসব লন্ডনের ব্যস্ত জীবন থেকে কিছুটা ছুটি নেওয়ার এক দারুণ উপলক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এখন শুধু ক্যারিবিয়ান বা তরুণ প্রজন্মই নয় বরং লন্ডনবাসীরা তাদের পরিবার পরিজনসহ এই আনন্দ উদযাপনের সুযোগ নষ্ট করেন না। তাই ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই পথ উৎসব এখন সার্বজনীন উচ্ছ্বাস আর ভিন্ন সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে জানার ও কাছে আসার মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সাধারণ লন্ডনবাসীর কাছে।
১৯৫৯ সালে সেন্টপেনক্রেস শহরে ক্যারিবিয়ান কেবরেট নাচে উৎসব উদযাপনের স্থির চিত্র।
১৯৬০ মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পূর্বে সমাজকর্মী রুহানী রাসলেতের নেতৃত্বে একটি দলের পদযাত্রা।
আয়োজকদের থেকে ঘোষণা আসে এই উৎসবের অন্যতম লক্ষ্য হলো ক্যারিবিয়ান স্টিট ড্রাম ও কলার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতিকে কাছাকাছি নিয়ে আসা।
উৎসবটি নতুন মাত্রায় প্রবেশ করে কারণ ওয়েস্ট লন্ডনের এই উৎসবে ১৯৭০ সালের দিকে মানুষের অংশ গ্রহণ ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে থাকে।
১৯৭৬ সালে বর্ণবাদী আক্রমনের স্বীকার হয় জনপ্রিয় হয়ে ওঠা উৎসবটি।
১৯৮১ সালের দিকে রোড ম্যাজিক অন্যতম প্রধান উৎসব উপকরণ হয়ে উঠে। বর্তমানে প্রায় ৩৮টি সাউন্ড সিস্টেম সংযোজন করা হয় উৎসব উদযাপনে।
আয়োজক ও লন্ডন পুলিশের মাঝে ভালো বোঝাপড়ার একটি স্থির চিত্র।
দিনে দিনে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিপ্রেমীদের গড়ে ওঠা আগ্রহ, সাল ১৯৮৪।
মশাব্যান্ড, সাউন্ড সিস্টেম, পথ গান ও সোকা গান উৎসবের মূল আকর্ষণের জায়গা দখল করে নেয়।
মশা ব্যান্ডের একজন নারী কর্মী।
আন্তর্জাতিক তারকাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় নটিংহিল উৎসব। ২০০৩ সালে উইক্লিফ জেন মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
চকলেট ও নানা রঙে একে অন্যকে রাঙিয়ে দেয়ার রীতিতে উৎসব উদযাপনরত দুই বাঁধনহারা তরুণী।
ডিজে নরমান জে ২০০৬ সালের উৎসব মাতিয়ে তুলেন অসাধারন সাউন্ড সিস্টেমের জাদুতে।
অন্যসব অংশের মতো স্ট্রিট ফুড এখন এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
নির্ধারিত টয়েলেটের জন্য দীর্ঘ লাইন ।
শিশু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যোগ দেওয়ায় নতুন আবেদন সৃষ্টি করে এই উৎসব।
বিরূপ আবহাওয়ার সাধ্য কি উৎসব ঠেকানোর, সাল ২০১৫।
চলতি বছর রবি ও মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে শুধু হয় মূল উৎসব।
২০১৬ সালে সাম্বা ব্যান্ড বাটালা নতুন ভাবে ফিরে এসে নতুন মাত্রা তৈরী করে।