নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড,নিহত-২,আহত শতাধিক 

নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড,নিহত-২,আহত শতাধিক 

শেয়ার করুন

 

Screenshot (247)

।। আবদুস সালাম, নারায়নগঞ্জ ।।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ
কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বপ্না রানী ও মীনা
আক্তার নামের দুই নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক
শ্রমিক। এছাড়া আগুন লাগা ভবনের ছাদে আটকে আছে আরো শতাধিক শ্রমিক।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত পৌনে ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে ফায়ার
সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। আহতদের স্থানীয় ইউএসবাংলা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে আহতদের পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই
কারখানায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,
কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রæপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস
কারখানায় প্রায় ৭ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কাজ করেন। করোনার কারনে
প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। সেখানে কার্টুন ও ফুড ইউনিটের
৬ তলা ভবনে থাকা কারখাটির নিচ তলার একটি ফ্লোরের কার্টুন থেকে হঠাৎ করে
আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এসময় আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে
আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কালো ধোয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে
যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছুটাছুটি করতে শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে
অবস্থান নেয়। আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করে। এসময় ছাদ
থেকে লাফ দিয়ে স্বপ্না রানী(৪৪) ও মিনা আক্তার(৪৩) নামের দুই নারী নিহত হন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউএসবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
দায়িত্বরত চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন। নিহত স্বপ্না হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ
উপজেলার গুলডুবা এলাকার যতীন সরকারের স্ত্রী ও নিহত মীনা কিশোরগঞ্জের কমিরগঞ্জ
উপজেলার উত্তরকান্দা কুকিমাদল গ্রামের হারুনের স্ত্রী। এছাড়া গুরুতর আহত
বাকিদের এম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে
পাঠানো হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল আল
আরিফিন বলেন,খবর পেয়ে ডেমড়া,নারায়ণগঞ্জ,কাঞ্চন ও পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের
১১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে, ব্রয়লার বিস্ফোরন
আতংকে সাবধান হয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এ কারনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময়
লাগছে । আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।