ল্যাব থেকে ছড়ায় করোনা

ল্যাব থেকে ছড়ায় করোনা

শেয়ার করুন

 

Coronavirus Lab

মহামারি করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। ভয়াবহ সংক্রামক করোনা চীনের রাসায়নিক অস্ত্র- আক্রান্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই প্রশ্ন বারবার তুলেছে। এমন কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরুর দিকে করোনাকে চীনা ভাইরাস নাম দিয়েছিলেন।
অবশ্য চীন দাবি করেছে, এই ভাইরাস উহানের মাংস বাজার থেকে ছড়িয়েছে। যদিও সেই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাধিক রিপোর্ট।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য সান এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির এক তরুণী ইন্টার্নের মাধ্যমে ল্যাবের বাইরে এসেছে বাদুড়ের দেহের করোনা ভাইরাস। তিনিই করোনার পেশেন্ট জিরো।

ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, উহানের মাংসের বাজার থেকে করোনা ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছিল চীন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের এই তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। কারণ করোনা যে বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে, এ ব্যাপারে আর কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু চীনের ওই মাংসের বাজারে বাদুড় বিক্রিই হয় না। চীনের উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি নামে ওই ল্যাবে ইবোলাসহ ১৫০০ ধরণের ভাইরাসের নমুনা সংরক্ষিত আছে। ল্যাবটি ২০১৫ সালে প্রায় ৪২ মিলিয়ন ডলার খরচ করে নির্মিত হয়। ২০১৮ সালে এটি চালু করা হয়। সেখানেই পরীক্ষা চলছিল বাদুড়ের শরীরে থাকা সংক্রামক করোনার।

তবে রিপোর্টে উহানের ল্যাবে রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরির কথা বলা হয়নি। ভাইরাস নিয়ে গবেষণায় চীন আমেরিকার চেয়ে এগিয়ে, সেটাই প্রমাণের চেষ্টা চলছিল। আর সেই সময়ই ওই ল্যাবে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করা এক তরুণী আক্রান্ত হন করোনায়। বিষয়টি তিনি বা তার সহকর্মীরা বুঝতে না পেরে সংক্রমিত হওয়ার পর ওই তরুণী ল্যাবের বাইরে যান। তার বয়ফ্রেন্ড তার মাধ্যমে প্রথম আক্রান্ত হন। এরপর দুজনেই উহানের মাংস বাজারে যান। তাদের মাধ্যমে আক্রান্ত হন বাজারের এক বিক্রেতা। তারপর সর্দি-জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করে মানুষ। এরপর ক্রমান্বয়ে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলে করোনা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত শনিবার চীনের উদ্দেশ্যে বলেন, এই ভাইরাসের সংক্রমণ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া যেত। কিন্তু চীন সেই চেষ্টা করেনি।

ট্রাম্প প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাসকে চীনা ভাইরাস আখ্যা দেওয়ায় চীন আপত্তি জানিয়ে আসছিল। তবে চীনা ভাইরাস না হলেও এটা পরিষ্কার যে, চীনের ভুলের মূল্য আজ পুরো বিশ্বকে দিতে হচ্ছে।