‘পাহাড়ের গ্রামীন এলাকায় শিক্ষার মান বাড়ছেনা’

‘পাহাড়ের গ্রামীন এলাকায় শিক্ষার মান বাড়ছেনা’

শেয়ার করুন

Untitled-2 copyরাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

পাহাড়ের গ্রামীন এলাকায় শিক্ষার মান বাড়ছে না। পাহাড়ের স্কুল গুলোতে শিক্ষার মান না বাড়ায় জেলা পরিষদের শিক্ষার উন্নয়নে নেয়া পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে বলে হতাশা ও অসন্তোষ জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।

বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রবর্তিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১শত ৫১জন শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি প্রদান কালে তিনি এ কথা বলেন। জেলা পরিষদ ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে এ বৃত্তি দিয়ে আসছে। বৃষকেতু চাকমা বলেন, পাহাড়ে স্কুল গুলোতে  মেধা সম্মন্ন শিক্ষার্থী বেরিয়ে আসছে না। এ কারণে এ বছর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ২০১৭সালের ৭ম শ্রেণী বৃত্তি পরীক্ষা আদৌ হবে কিনা তা চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি ।

তিনি বলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়নে মেধা ভিত্তিক শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে। কিন্তু রাঙ্গামাটি ও কাপ্তাইয়ের শহর এলাকা ছাড়া আর কোন উপজেলার স্কুলে শিক্ষার মান ভাল নয়।

তিনি হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্ধ রেখে সর্বাত্বক চেষ্টা চালালেও মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশানুরুপ মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে প্রতিবছর জেলা পরিষদের বৃত্তির টাকার চেয়ে এর অনুষ্ঠান আরম্ভবে বেশী অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

পরে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির টাকা ও সম্মাননা ক্রেস্ট এবং সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনন্য মেধায় ১জনকে ৬হাজার টাকা, টেলেন্টপুলে ৫০জনকে ৪হাজার টাকা এবং ১শত জন শিক্ষার্থীকে  সাধারণ গ্রেডে ৩হাজার টাকা করে মোট ৫লক্ষ ৬হাজার টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কাপ্তাই নৌবাহিনীর কমান্ডার রহুল আমিন সরকার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও শিক্ষা বিষয়ক আহ্বায়ক অংশুইপ্রু চৌধুরী, পরিষদের সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, পরিষদের সদস্য ত্রিদীপ কান্তি দাশ, পরিষদের সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীতে শিক্ষা বৃত্তি চালু করায় এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মাধ্যমিক স্তরে জেএসসি ও পরবর্তি পাবলিক পরীক্ষায় গুনগত মান অর্জনের ক্ষেত্রে  এ বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের সহায়ক হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বেশী করে মনোনিবেশ করাতে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুনগতমান বৃদ্ধিতে শিক্ষক অভিভাবকদের ভুমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।