সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মোমবাতি প্রজ্বলন

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মোমবাতি প্রজ্বলন

শেয়ার করুন

img_2736

গণ বিশ্ববিদ্যালয় (সাভার) প্রতিনিধি :

‘সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক, বাংলাদেশ মুক্তি পাক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার প্রতিবাদে ১৪ নভেম্বর মোমবাতি প্রজ্বলনসহ, মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সনাতন বিদ্যার্থী পরিষদ  এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃন্ত।

সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ্ছাসেবী সংগঠন বৃন্ত ও সনাতন বিদ্যার্থী পরিষদের নেতাকর্মীরা এবং প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

img_2769মানববন্ধনে বক্তারা তাদের বক্তব্যে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের  দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও ঘরবাড়ি পুনরায় নির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কালের কণ্ঠ শুভসংঘ ইউনিটের সভাপতি রানা মিত্র প্রতিবাদ কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন ‘১৯৭১ সালে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। রামুসহ অন্যান্য ঘটনার বিচার না হওয়ায় বারবার এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটছে’। এভাবে চললে সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত বৃন্তের সহ-সভাপতি নাইম জোয়ার্দার এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন ‘হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নয়, বাঙ্গালী হিসেবে দেশ আমার আপনার সবার’।সাম্প্রদায়িকতার বর্বরতায় যেন কোন বাঙ্গালী দেশ ছাড়া না হয় এদিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

সনাতন বিদ্যার্থী পরিষদের প্রভাত মণ্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সবাইকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে বলেন। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এই সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।