শিল্প কারখানা খোলার ঘোষণায় ঝুঁকি নিয়ে ঢাকামুখী শ্রমিকরা

শিল্প কারখানা খোলার ঘোষণায় ঝুঁকি নিয়ে ঢাকামুখী শ্রমিকরা

শেয়ার করুন

 

ছবি-সংগৃহিত
ছবি-সংগৃহিত

।। সালাহ উদ্দিন সৈকত,কালিয়াকৈর,গাজীপুর ।।

চলমান দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিল্প-কারখানা আওতাভুক্ত ছিল। এই লকডাউন ৫ই আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে জনপ্রশাসন মন্ত্রী এই কথাই বলেছিলেন। তাই বেশিরভাগ শ্রমিক গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে ঘোষণা দেওয়া হলো পহেলা আগস্ট রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া হবে। খোলার ঠিক একদিন আগে এই ঘোষণায় শিল্প কারখানার শ্রমিকরা হঠাৎ করে বিপাকে পড়ে গেছে। তাই তারা যে যেভাবে পারছে গ্রাম থেকে ঢাকামুখী হচ্ছে। এদিকে এখনও লকডাউন কার্যকর আছে। গণপরিবহন বন্ধ,শিল্প কারখানা খুলে দেওয়া বিষয়টি উভয় সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আসলে সাধারণ মানুষ কোন দিকে যাবে? একদিকে ঢাকায় ফিরে আসা অন্যদিকে সময় মত না পৌছালে চাকরি হারানোর ভয়।

পহেলা আগস্ট থেকে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী সব শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় রাতেই ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন পোশাক শ্রমিকরা। শুক্রবার (৩০ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিল্প-কারখানা খোলার প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে তারা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকরা ঢাকা ফিরছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যে যেভাবে পারছেন ঢাকা ফিরছেন। চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় কেই মোটরসাইকেল, সিএনজি, মালবাহী ট্রাক এবং এ্যাম্বুলেন্সে করে রাতেই ঢাকা ও আশপাশের শিল্প-অঞ্চলে ফিরতে শুরু করেছেন।

এদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, লকডাউনের কারণে বেশ কিছুদিন কাজ ছাড়া বসে থাকতে হয়েছে। কাজ না করলে টাকা আসবে না। যত দ্রুত কাজে যোগদান করতে পারব, তত দ্রুতই হাতে টাকা আসবে। তাই কষ্ট করে হলেও যথা সময়ে কাজে যোগদানের জন্য ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি।

রাস্তাঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা গেলেও হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে পুলিশি পাহারা তেমন একটা চোখে পড়েনি।

এদিকে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে গেছেন, তারা যদি ১ আগস্ট চাকরিতে যোগদান করতে না পারেন, তাহলে তাদের চাকরি যাবে না।

তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া শ্রমিকরা কারখানায় যোগ দেবেন। এ সময়ে যেসব শ্রমিক কারখানায় আসতে পারবে না তাদের চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন,কঠোর লকডাউনে কোনো শ্রমিক যদি কারখানায় ফিরতে না পারে, সেই শ্রমিকের যাতে চাকরি চলে না যায়,সেজন্য কারখানার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।