শরিয়তপুরে কলেজ ছাত্রী গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

শরিয়তপুরে কলেজ ছাত্রী গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

শেয়ার করুন

shariatpur-শরীয়তপুর-300x143@2x
শরীয়তপুর প্রতিনিধি :

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার চর সামন্তসার গ্রামে আয়না বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১২টার দিকে তার বসত ঘরের বারান্দা থেকে ঝুলন্ত অবস্থা লাশটি উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূর স্বামী জসিম মাদবর পলাতক রয়েছে।

ওই গৃহবধূ ডামুড্যা  উপজেলার চর সিধলকুরা গ্রামের আলতাফ ফকিরের মেয়ে। সে গোসাইরহাট শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। জসিম তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে এমন অভিযোগ করেছে আয়নার পরিবার।

গোসাইরহাট থানা ও গৃহবধূর পরিবার সূত্র জানায়, ডামুড্যা উপজেলার চরসিধলকুরা গ্রামের আলতাফ ফকিরের মেয়ে আয়না বেগমকে ২০১৪ সালে বিয়ে দেয়া হয় গোসাইরহাট উপজেলার চর সামন্তসার গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিন মাদবরের ছেলে জসিম মাদবরের কাছে। বিয়ের সময় তাদের সংসারের কাজে খরচ করার জন্য এক লক্ষ টাকা দেয়া হয়। বিদেশ যাওয়ার কথা বলে জসিম চার মাস আগে আরো তিন লক্ষ টাকা আনেন আয়নার বাবার বাড়ি থেকে।

সে সম্প্রতি অটোরিকসা ক্রয় করার জন্য স্ত্রীকে আরো দেড় লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। আয়না টাকা আনতে রাজি না হওয়ায় তাকে নির্যাতন করতে থাকে জসিম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগরা হত। এক মাস আগে স্বামীর সাথে ঝগরা করে আয়না তার বাবার বাড়ি চলে যায়। পরে স্বজনদের হস্তক্ষেপে জসিম আয়নাকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন।

বুধবার রাত ১২টার দিকে জসিম মাদবরের বসত ঘরের বারান্দা থেকে আয়নার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আয়নার বাবা আলতাফ ফকির বলেন, টাকার জন্য জসিম আমার মেয়েকে মেরে ফেলবে তা ভাবতে পারিনি। আমি গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। মেয়ের সুখের কথা বিবেচনা করে জমি বিক্রি করে জসিমকে চার লক্ষ টাকা দিয়েছি। তার পরও সে আরো টাকার জন্য আয়নাকে জালাতন করত।

জসিমের মা জীবন নেছা বলেন, ছেলের সাথে তার বউয়ের মাজে মাঝে ঝগরা হত। রাতে সবাই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরি। আয়না বারান্দায় বসে পড়া লেখা করছিল। তার গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে বারান্দায় গিয়ে দেখিতার দেহ ঝুলে আছে। তখন পুলিশকে খবর দেই।

গোসাইরহাট  থানার ভার প্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জল হোসেন বলেন, যৌতুকের টাকা ও পরকিয়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ চলছিল। কিভাবে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত না করে বলা যাচ্ছে না। জসিমকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।