শরনখোলায় রিং-বাঁধ ভেঙ্গে সাত গ্রাম প্লাবিত

শরনখোলায় রিং-বাঁধ ভেঙ্গে সাত গ্রাম প্লাবিত

শেয়ার করুন

sharonkhola(3)

ছবি- এটিএন টাইমস

।। মাসুম বিল্লাহ, শরনখোলা, বাগেরহাট।।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় জোয়ারের চাপে উপকুলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের শরনখোলায় বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী ৩৫/১ পোল্ডারের রিং বাঁধ ভেঙ্গে কমপক্ষে সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে বাঁধের ভিতরে ও বাহিরে থাকা প্রায় তিন হাজার পরিবার পানি বন্ধী হয়ে পড়ায় খাবার সহ বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

sharonkhola(2)ছবি- এটিএন টাইমস
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৫মে মঙ্গলবার বলেশ্বর নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে এবং ২৬ মে বুধবার সকাল থেকে উপজেলা জুড়ে বৃষ্টি সহ ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি নদীর পানি বাড়তে থাকে। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী, তেরাবেকা ও চালিতাবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. রোকা তালুকদার, মো. গনি হাওলাদার ও  মো. মানিক তালুকদারের বাড়ী সংলগ্ন এলাকা থেকে রিং বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেষ করায় উপজেলার বগী, খুড়িয়াখালী, তেরাবেকা, চালিতাবুনিয়া, চাল-রায়েন্দা, সোনাতলা, রসুলপুর, রাজৈর বান্দাঘাটা ও রায়েন্দা বাজার সহ ৬/৭টি গ্রামের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে বাঁধের উভয় পার্শ্বের প্রায় তিন হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ে।
উপজেলার শরনখোলা বাজারের ব্যবসায়ী মো. জালাল আহম্মেদ বলেন, জোয়ারের চাপে হঠাৎ করে রিংবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে তার তিনটি মৎস্য ঘের চোঁখের সামনেই মুহুর্তে তলিয়ে গিয়ে তার কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া প্লাবিত হওয়া পরিবারগুলোতে রান্না-বান্না করার কোন সুযোগ না থাকায় খাবার সহ বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা তাদের গবাদি পশুগুলো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন জানান, বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় জনসাধারনের ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে কিছু খাদ্য সহয়তা দেওয়া হয়েছে। বাঁধের উভয় পার্শ্বে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছে।