দিনাজপুরে বিধি নিষেধ অমান্য করায় ৬৩৮ মামলা, ৫ লাখ টাকা...

দিনাজপুরে বিধি নিষেধ অমান্য করায় ৬৩৮ মামলা, ৫ লাখ টাকা জরিমানা

শেয়ার করুন

দিনাজপুরে বিধি নিষেধ অমান্য করায় ৬৩৮ মামলায় প্রায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত

Dinajpur Pic ATN

।। হুমায়ুন কবীর, দিনাজপুর ।।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে লাগাম টানতে চলমান কঠোর লকডাউনে ঘোষিত
বিধি নিষেধ অমান্য করায় দিনাজপুরে ৬৩৮ টি মামলায় প্রায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা
আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সোমবার পর্যন্ত এসব মামলায় মোট ৬৪০
জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা
হয়েছে। এর মধ্যে একদিনে প্রায় ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে
জানা গেছে। জেলায় ১৪ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এসব আদালতে বিচারক
হিসেবে কাজ করেন বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, সরকারি কমিশনার
(ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ পদস্থ কর্মকর্তাগণ। তাদের সহায়তা করেন
সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীর
সদস্যগণ।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসন প্রদত্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুলাই
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৪ জুলাই রোববার রাত পর্যন্ত জেলায় ১৪ টি ভ্রাম্যমান
আদালত পরিচালনা করা হয়। বিধি নিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে এসব আদালতে ৬৩৮ টি
মামলা রজু করা হয়। যার আসামী মোট ৬৪০ জন। এর মধ্যে ৩ জনকে কারাদন্ড প্রদানসহ
অন্যান্যদের নিকট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া শুধু
৪ জুলাই রোববারই ১৫৭ জনের নিকট থেকে ১৫৭ টি মামলায় মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার
১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর সদর
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদের নেতৃত্বে দিনাজপুর সদরসহ পৌর
এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে ৩৬ টি মামলায় ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা
হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণের হার বরাবরই
বেশি ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর সদর উপজেলা।
দিনাজপুর সদর উপজেলায় করোনার লাগাম টেনে ধরতে গত ১৫ জুন মঙ্গলবার থেকে
স্থানীয়ভাবে কঠোর বিধি নিষেধ জারি করা হয়। পরবর্তীতে ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী
জারি করা বিধি নিষেধও একসাথে চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় মানুষকে ঘরবন্দি রাখতে
তৎপর রয়েছে প্রশাসন। বিশেষ করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল
মুঈদ শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে স্থাপিত চেক পোস্টে কড়া নজরদারিসহ নানা পদ্ধতি
অবলম্বনের মাধ্যমে মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।